শাহজালাল’র তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

- ২৮-Dec-২০১৯ ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহন এবং মালপত্র আনা নেয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুল প্রতীক্ষিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। এই প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার তিনশ’কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে বিমানের নতুন সংগৃহীত দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রীমলাইনার উড়োজাহাজ ‘অচিন পাখি’ এবং ‘সোনার তরী’র উদ্বোধন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের মোবাইল এ্যাপস উদ্বোধন করেন।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, তৃতীয় টামির্নাল নির্মিত হবার পর এটি হবে এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক বিমানবন্দর। এটি নির্মিত হলে বছরে আরো অতিরিক্ত এক কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে পাওয়া যাবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, জাপানের মিটসুবিশি এবং ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়াম এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।
একটি একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং টাস্কের জন্য একটি দক্ষ কোম্পানি মনোনীত করতে দরপত্র উন্মুক্ত করে দিবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার এ সংক্রান্ত প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে একটি পৃথক কার্গো হাউজ স্থাপনসহ প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণ ক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।