ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

- ২-জানুয়ারী-২০২০ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মরদেহ দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বাপ্পীর মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানান।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মরহুমের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ মরহুমের আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বাদ আসর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রয়াত ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
এর আগে বাদ জোহর জাপান গার্ডেন সিটিতে ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় আইনজীবী বাপ্পী যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপ কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৭-০৮ সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে দলের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ যখন ‘সংস্কারের’ কথা বলছিলেন, বাপ্পী ছিলেন শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্যে অনড়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এক সময় সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেছেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর সংরক্ষিত নারী আসন ৫টি বাড়ানো হলে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নবম সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন বাপ্পী। পরে দশম সংসদেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরের বছর ৪ মে গৃহীত হয় একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে শাস্তির জন্য আইন করার একটি প্রস্তাব। দুটি প্রস্তাবই সংসদে তুলেছিলেন সাংসদ বাপ্পী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সকাল আটটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী।