উন্মুক্ত উপচার্যের স্বৈরাচারী কাণ্ড: পর্ব-৩

- ৪-জানুয়ারী-২০২০ ০৪:২০ অপরাহ্ন
কোটি কোটি টাকা লোপাট
:: জিএম রফিক ::
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মাননানের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বেচ্ছাচারিতাসহ আরও বেশ কিছু তথ্য নিয়ে দুই পর্বে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ভোরের পাতা। হাতে রয়েছে আরও চার পর্বের প্রতিবেদন। এরই মধ্যে উপাচার্যের আরও গভীরের খবরাখবর আসতে থাকে আমাদের দফতরে। আর তারই পথ ধরে আমাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের মোড় একটু ঘোরাতেই হয়। কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসে বড় বড় সাপ। সামনে উঠে আসে পদবী ও প্রতিষ্ঠানের নাম গোপন করে উপাচার্যের সঙ্গে বাউবির বই লেখার চুক্তিপত্রের দলিল, বিদেশ ভ্রমণের বিলাসভ্রমণ চিত্র ও বাউবির কোটি কোটি টাকা লোপাটের খতিয়ান। এমনই সব তথ্য নিয়ে থাকছে আমাদের এই পর্বের প্রতিবেদন।
প্রথম পর্বের প্রতিবেদনে আমরা বাউবির ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রের তোরণ নির্মাণের ছোট্ট একটি তথ্য তুলে ধরেছিলাম। যার নির্মাণ খরচ বাউবি দেখান ৯০ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় পর্বে নির্মাণ কাজে নানা অনিয়মের পাশাপাশি একটি ছোট্ট হিসাব ছিল সবার সামনে। এবার দেখা গেল উপাচার্যের অন্য আরেকটি রূপ। যেখানে গেল বছর (২০১৯) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হিসাবে বাউবির বই লেখার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। অথচ তিনি বাউবির উপাচার্য হিসেবে বহাল। এদিকে বাউবির পক্ষে রয়েছে নামহীন কোষাধাক্ষ্যের স্বাক্ষর। এই চুক্তির সাক্ষী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও কাজী শারমীন পামেলা। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, কারা এই সাক্ষী? এরা আর কেউ নন, উপাচার্যের সাজানো বিভিন্ন কমিটির সদস্য। ওপেন স্কুলের ডিন অধ্যাপিকা সাবিনা ইয়াসমিন রয়েছেন ওয়ার্কস কমিটিতে আর শারমীন অন্যটিতে। এই চুক্তি অবৈধ জেনেও চুপিসারে মেনে নেন উপাচার্যের নির্দেশ। কারণ একটাই, লাভের হিস্যা, তার থেকে বড় চাকরিতে সম্মান। উপাচার্যের বিপরীতে গেলেই নাকি বদলি, মানহানি, চাকরিচ্যুতি। এ বিষয়ে অধ্যাপিকা সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা গত কয়েক দিনে অব্যাহত থাকে। কিন্তু তার কাছে পৌঁছানো সে আর এক বেষ্টনী। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোষাধাক্ষ্য অধ্যাপক ড. আশফাকও কল রিসিভ না করলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। পরে বারবার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বইয়ের চুক্তিপত্রের খবরাখবর নিয়ে যখন আমরা তথ্যানুসন্ধানে রয়েছি, ঠিক তখন বেজে উঠে ফোন। জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনশক্তি উন্নয়ন (প্রশিক্ষণ) খাত থেকে বিদেশ ভ্রমণের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। ভোরের পাতা প্রতিবেদকের নজর ঘোরে সেদিকে। দেখা যায়, শুধু ২০১৮-১৯ অর্থ বছরেই এই খাতে তিনি নিয়েছেন ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৫টাকা। ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে উপাচার্য। খরচ ৪ লাখ ১২ হাজার ৯৬৮টাকা। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে দুবাই যাত্রার খরচ ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৪ টাকা, অক্টোবরের ১০ তারিখে ভিয়েটনামের হানিওতে অনুষ্ঠিত এএওইউ এর ৩২তম সভায় অংশগ্রহণের নামে খরচ দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৪ টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভারত ও জার্মানিতে দুটি আলাদা সফরে মোট ব্যয় দেখান ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫৩টাকা আর আগস্টের ৬ তারিখে স্কটল্যান্ড সফরের ব্যয় ৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৬ টাকা। এদিকে সরকারি অনুমোদনের (জি.ও) বাইরে অতিরিক্ত সময় বিদেশে অবস্থানসহ জি.ও’তে উল্লেখ নেই এমন দেশও বাউবির বিভিন্ন খাত থেকে টাকা নিয়ে ভ্রমণ করেছেন বলে রয়েছে উপাচার্য মাননানের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
উপাচার্যের গাড়ি বিলাস: শুধু বিদেশ ভ্রমণই নয়, দেশের মধ্যেও ভ্রমণবিলাস থেমে থাকে না তার। জাতীয় শোক দিবসে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে চলে যান ভ্রমণবিলাসে। এ সময় তিনি নেত্রকোনায় আনন্দ ভ্রমণে ছিলেন ব্যস্ত। শোক দিবসের এক দিন আগে থেকে শোক দিবসের পর দিন পর্যন্ত তিন দিনের এই সফরে তার সঙ্গে ছিল বাউবির কোস্টার (নম্বর ঝ ১১-০১৮)। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে দাফতরিক কাজের বাইরেও ব্যবহার করেন সরকারি গাড়ির (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৫৬৮৫) ব্যবহার। তার পরিবারের সদস্যদের জন্য রয়েছে বাউবির ঢাকা মেট্রো গ ৪২-৩৫১৪ এবং ঢাকা মেট্রো গ ২৯- ৮২৫৪/২৯-৮২৫৫। শুধু তাই নয়, বিধি বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টার (ঢাকা মেট্রো ঝ ১১-০৭২১) নিয়ে গত বছরের জুনে সপরিবারে কুয়াকাটা ভ্রমণ করেন। আর এই টাকাও নাকি বাউবির উপাচার্যের প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে আদায় করে নিয়েছেন বাউবি কেন্দ্রীক ঠিকাদারদের কাছ থেকে।
যেনতেন উপায়ে উপার্জন: প্রথম পর্বে আমরা উপাচার্যের নিজের ও তার ছেলে এবং মেয়ে জামাইয়ের কোর্স বাবদ হিসাব তুলে ধরেছিলাম। এবার যাচ্ছি একটু বিস্তারিতে। ২০১৫ সালে বাউবির ইভিনিং এমবিএ প্রোগ্রাম শুরুর পর থেকে প্রতি সেমিস্টারেই উপাচার্য ৩-৪টি কোর্স পড়িয়ে থাকেন। ‘ফল-২০১৯’ এ তিনি চারটি কোর্স নিয়েছেন। প্রতি ক্লাসের সময় ২ ঘণ্টা ৩০মিনিট হিসাবে প্রতিদিন চারটি করে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অতিমানবিক ভূমিকা বলে অভিহিত করলেও পেছনে ছিল অন্যকিছু। প্রতি কোর্সে এক লাখ টাকা ধার্য রয়েছে। ৪ মাসে তিনি পকেট করেন ৪ লাখ টাকা। অথচ ছিল না ক্লাসের বালাই। শুধু ‘ফল’ না, এভাবে চলে সব কোর্সই। বছরে উপাচার্যের পকেটে ঢোকে ১২ লাখ টাকা। আবার উপাচার্যপুত্র জাহেদ মাননান ও মেয়ের জামাই ড. আমির আহমেদকে প্রতি সেমিস্টারে দেওয়া হয় অন্তত ১টি কোর্স। এছাড়া উপাচার্য বাউবির এইচএসসি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় বর্ষের তিনটি থেকে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী গ্রহণ করেন। যদিও বাউবির অভ্যন্তরীণ শিক্ষকরা বই লেখা বাবদ কোনো সম্মানী পান না। ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা, ব্যবসায় সংগঠক ও ব্যবস্থাপনা এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন বই তিনটি প্রণয়নে তিনি তার পূর্বে প্রকাশিত বইগুলো থেকে কাট-পেস্ট করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আর্থিক স্বেচ্ছাচারিতা: কোষাধাক্ষ্যকেও ইদানিং নাকি সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি। ‘অনেক বেয়াড়া’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্যও করেছিলেন কয়েকজনের সঙ্গে। সম্প্রতি এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিনিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি থেকে কোষাধাক্ষ্য অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেনকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথা মোতাবেক কোষাধাক্ষ্য এই কমিটির সভাপতি হয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই, অর্থ লোপাট। যদিও মুখ খুলতে কোনোভাবেই রাজি নন ড. আশফাক। সাংবাদিক বাদে আমাদের বিভিন্ন সোর্স দিয়ে বিষয়ে মুখ খোলানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি জানান, চাকরি থাকবে না। তাই মুখ খুলি না। আবার অন্য দিকে তার বিভিন্ন কাজে তাকেই সহযোগিতা করতে হয়। আর না হলে সেখানেও সমস্যা। ভাগও বলে নিতে হয় তাকে। তবে এসব কথা আর কাউকে জানাতে নিষেধ করেন তিনি। এসব বিষয়ে কথা বলতে নারাজ প্রো-ভিসিও। অধ্যাপক খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি।’
সমাবর্তনের নামে অর্ধকোটি টাকা: ষষ্ঠ সমাবর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই সমাবর্তনের কথা বলে অর্ধ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। সেই টাকা দিয়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ব্যাগ, ছাতা, টাই ও উপহার সামগ্রী ক্রয় দেখানো হয়। টাকা উত্তোলন বিষয়ে সভা তড়িঘড়ি শেষ করার আগে সিদ্ধান্ত জানিয়ে সবার সম্মতি স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয় বলে জানান ওই সভায় একাধিক উপস্থিতিতি। একই দিনে বিকেল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে অর্থাৎ মাত্র দুই ঘণ্টা বা তার কম সময়ে উপাচার্য ড. মাননান একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ-কমিটি ও বিওজির মত গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষ করেন। ২০১৮ সালের শেষ মাসের ১৮ তারিখে জনতা ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্ট থেকে ‘অধ্যাপক ডা. সরকার মো. নোমান’কে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা ব্যয় হয় উপাচার্যের বাসভবনে ১০ জন লোকের আপ্যায়নের জন্য। এ বিষয়ে ড. নোমান বলেন, ‘তারা বিদেশি অতিথি ছিলেন। তাদের রাতের খাবারের জন্যই এই টাকা তোলা হয়।’
কোটি কোটি টাকার সংস্কারমূলক কাজ: পৃথক চারটি টেন্ডারের মাধ্যমে সম্প্রতি প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য এবং ট্রেজারের দফতর সংস্কার করা হয়েছে। এসব দফতরের সম্প্রতি নতুন আসবাবপত্র কেনার জন্য ব্যয় করা হয়েছে আরো প্রায় আশি লাখ টাকা। প্রায় ষাট লাখ টাকা ব্যয়ে উপাচার্যের দফতরের ইন্টেরিয়র কাজ করা হয়েছে। বিপুল ব্যয়ে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই আবার উপাচার্যের বাসভবনের অভ্যন্তরে ওয়াক-ওয়ে, পুকুর ও ভবনের সংস্কারের জন্য প্রায় ১৯ লাখ টাকার কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৮ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে উপাচার্যের ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের সংস্কার করা হলেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আবার উক্ত অফিসের সংস্কার এবং রিনোভেমনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাউবিতে নিমার্ণ সংক্রান্ত কাজের বেশিরভাগই সংস্কারমূলক কাজ। গত প্রায় একযুগ ধরে শিক্ষক সমিতি একাডেমি ভবন নিমার্ণ এবং ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষা চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নবনির্মিত অতিথি ভবনের ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণের মাধ্যমে অন-ক্যাম্পাস শিক্ষা কার্যক্রম দাবি জানানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লা বিল্ডিং’ (পরীক্ষা বিভাগ এবং তথ্য ও গণসংযোগ দফতর), অতিথি ভবন এবং নিমার্ণাধীন অডিটোরিয়ামে বিদ্যমান কক্ষগুলোতেও পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। কিন্তু এসব বিকল্প ব্যবহার না করে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঢাকার উত্তরায় ভবন ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগ আছে ওই বিল্ডিংয়ের বাড়ির মালিক তার পরিচিতদের একজন। সেই সুবাদে বাড়ি ভাড়ার একটি অংশ গিয়ে জমা হয় উপাচার্যের পকেটে। এই অংশ ১০ শতাংশের মত বলে উল্লেখ করেন একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান এই পর্বেও কথা বলেননি। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। ক্ষুদে বার্তারও উত্তর দেননি। তবে সকল বিষয়েই কথা বলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। অর্থ উত্তোলন ও লোপাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণই ক্ষমতার অপব্যবহার। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থেকে বই প্রকাশনা বাবদ তিনি অর্থ নিতে পারেন না। এটা প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন। আমার প্রত্যাশা হবে, এসব প্রকাশিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন নিশ্চয় এগুলো যাচাই-বাছাই করে সত্য প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কেউ ন্যায় বিচারের ঊর্ধ্বে নয়।’
সমাবর্তনী বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি প্রক্রিয়ার বাইরে কোন টাকা উত্তোলন করলে সে অপরাধ। আগে থেকেই জানিয়ে তারপর একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রব্যাদি ক্রয় করা যেতে পারে। সমাবর্তনীর কথা বলে তিনি এ ধরনের কাজ করলে তা ঠিক হয়নি। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে সেটা যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করে, তেমনই সরকারের সুনামও নষ্ট করে। তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সরকারও নিশ্চয় খতিয়ে দেখবেন।’