'দেশে পুলিশের অবদান ইতিহাসে সবসময় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে'

  • ৫-জানুয়ারী-২০২০ ০৬:০১ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: জি এম রফিক ::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের নাম আজীবন জড়িত থাকবে। দেশে পুলিশের অবদান ইতিহাসে সবসময় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পুলিশ বাহিনী প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বিশেষ করে সড়ক নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। পথচারীসহ সকলের চলাচলে ট্রাফিক পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জনগণ তাৎক্ষণিক সুবিধা পাচ্ছেন। ফায়াস সার্ভিস কর্মীরাও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। এমনকি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায়ও পুলিশ কাজ করছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই ২১ বছর সরকারে ছিল। এ সময় তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে কাজ শুরু করে। এ সময় পুলিশের প্রত্যেকটি কাজে সাহসিকতা ও দক্ষতা দেখেছি। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় পুলিশের ২৯ জন সদস্য নিহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্য এ সময় নিজের জীবনবাজি রেখে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করেছে। এজন্য আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশে ব্যাপক পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছি। পুলিশের সেবা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতিসংঘে শান্তি মিশনে বাংলাদেশের পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া পুলিশে নারীদের নিয়োগও বাড়ানো হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য আজীবন রেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে পুলিশের কল্যাণের লক্ষ্যে কল্যাণ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। পুলিশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে পুলিশ সদস্যরা সহজে ঋণ নিতে পারেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)- সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)- সেবা’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ শুরু হয়। পুলিশ সপ্তাহ চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

Ads
Ads