ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণকারী মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট: র্যাব

- ৮-জানুয়ারী-২০২০ ০৮:৩১ পূর্বাহ্ণ
:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ধর্ষক মজনু (৩০) একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়া নবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘মজনুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় সে প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীদের ওপরও এমন যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। সে একজন সিরিয়াল র্যাপিস্ট।’
র্যাব জানায়, তাকে ঢাকার শেওড়া (জোয়ার সাহার) রেললাইন এলাকা থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ ঘটনার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। তার সব কিছুই মিলে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
র্যাব আরো জানায়, ধর্ষককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও চার্জার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি টর্চ লাইট জব্দ করা হয়েছে। ধর্ষক মজনুর বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। সে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতো। মাঝে মাঝে কুর্মিটোলা এলাকার পরিত্যক্ত ট্রেনের কামরায়ও থাকতো।
রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ওই ছাত্রী। বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বাস থেকে নামার পর তাকে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে ঝোপে নিয়ে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়। অজ্ঞান হয়ে যান ওই ছাত্রী। পরে জ্ঞান ফিরলে বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। বান্ধবী তাকে ক্যাম্পাসে এনে অন্য বন্ধুদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত, মামলার এজাহারে দেয়া বর্ননার পাশাপাশি ওয়ান স্টপ সার্ভিসে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা ছাত্রীর বয়ান ধরে সোমবার থেকেই এর তদন্তে নামে বিভিন্ন বাহিনী। সঙ্গে যোগ হওয়া ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ মিলিয়ে করা অভিযানে মিললো একজন।
এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরই আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো। হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রক্টর ও শিক্ষকরা। গত দুইদিন ধরে ঘটনার প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।