‘আগামী এক বছরের মধ্যে শেয়ার বাজারে আসবে পদ্মা ব্যাংক’

  • ৩০-জানুয়ারী-২০২০ ০৬:১৭ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: নিজস্ব প্রতিবেদক ::

স্বপ্নযাত্রার প্রথম বছর পার করল পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। গত ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। সে থেকে ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করে চলেছে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে হয়ে গেলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন। সেই সঙ্গে হয়েছে দ্বিতীয় বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্স। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড এর চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসান খসরু। এহসান খসরু বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ ছিল ৩৭৫ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৯ সালে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি টাকায়। ২০২০ সালে এর পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়াও ২০২০ সালে ৪০৫ কোটি টাকা ক্যাশ রিকভারি করতে চাই। বর্তমানে আমাদের ব্যাংকের অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও আগের তুলনায় অনেক ভালো। ২০২০ সালের মধ্যে এডিআর ১০০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা সহ ব্যাংকিং খাতের সেরা ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এহসান খসরু।

চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষীকির বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। যার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া ধন্যবাদ জানাই গ্রাহকদের, যারা আস্থা রেখেছেন ব্যাংকের উপর। 

প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফ সি এ, এমপি পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ও সকল কর্মকর্তাদের ভূয়সী প্রসংসা করেন। তিনি বলেন, ফেল করবেনা পদ্মা ব্যাংক এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এমনকি জাতীয় সংসদেও এই কথা বলেছি আমি। ব্যাংকের প্রতিটি কর্মী এক একজন লড়াকু সৈনিক। তারা জিতবেই। 

অর্থমন্ত্রী আগামী এক বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে পদ্মা ব্যাংক আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ব্যাংকের পুঁজি নগদ টাকা নয় বরং বিশ্বাস। রাস্তা হারানো যাবে না, গন্তব্য ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে। 
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। গ্রাহকদের আস্থা তৈরি করতে পেরেছে পদ্মা ব্যাংক। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, টিমওয়ার্কের মাধ্যমে পদ্মা ব্যাংক যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তাতে এ প্রতিষ্ঠান আরো এগিয়ে যাবে। পদ্মা ব্যাংক তাদের আগের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একটি মডেল ব্যাংক হিসেবে দাঁড়াবে, এটাই তাদের কাছে প্রত্যাশা। বাইরের তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা ছাড়াই ব্যাংকটি নিজস্ব সক্ষমতা দিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটি একটা ভালো দিক।

অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারমান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, পদ্মা ব্যাংক আমানত ও ঋণ আদায়ে তাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ বেশি। একই সঙ্গে তাদের সম্ভাবনাও বেশি।

গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে ডিজিটাল ব্যাংকিং সুবিধা আরো বেশি সহজ করেছে পদ্মা ব্যাংক। পদ্মা ক্লিক, পদ্মা ডিজি, পদ্মা আই ব্যাংকিং এবং পদ্মা ওয়ালেট নামে চারটি নতুন সফটওয়্যার উন্মোচন করা হয়েছে। যা গ্রাহকদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসবে ব্যাংকিং সুবিধা। এছাড়া আমানত সংগ্রহ ও রিকভারিতে সাফল্য অর্জনকারী এগার জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এবং আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। এছাড়া অন্যান্য পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. হাসান তাহের ইমাম, তামিম মারজান হুদা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান, জনতা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম আজাদ, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ‘আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের সকল শাখার শাখা ব্যবস্থাপকরাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পায় পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির মূল মালিকানায় চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক  সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। ৫৭টি শাখার মাধ্যেমে দেশব্যাপী আধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রাহকদের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড।

Ads
Ads