নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কেন্দ্র পাহারা দেবে আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের

  • ৩০-জানুয়ারী-২০২০ ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, বিএনপির স্বভাবসুলভ যে মিথ্যাচার, অপপ্রচার বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে, এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা সিটি নির্বাচনে জনগণের আশানুরুপ সাড়া না পেয়ে বিএনপি বিভ্রান্ত নাবিকের মত আচরণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীর কথাবার্তা এবং আচরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের প্রত্যক্ষ উস্কানি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে বিএনপি ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর বহিরাগতকে ঢাকায় এনে জড়ো করেছে। এদের মধ্যে দাগি আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রয়েছে। ঢাকায় নিয়ে এসে প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁশতর মত লোক রাখার পায়তারা করছে। ভোট রক্ষার নামে তাদের এই অভিসন্ধি- এটা আমরা জানতে পেরেছি। তারা এই বহিরাহগদের দিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে হট্টগুল পাকিয়ে নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে। নির্বাচন বানচালের নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র করছে।

এসব তথ্য পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাতে করে জনগন ইচ্ছামত, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতেও আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দিবে। আমরা চাই কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকুক

তিনি বলেন, আইনপ্রযোগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করবে। আমরাদেরও দায়িত্ব আছে, জনগন যেন যাকে খুশি তাকে ভয়ভীতি মুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে। সে ব্যপারে সাংগঠনিকভাবে আমরাও নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিচ্ছি।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সংঘাতে রুপ নিতে পারে কি না প্রশ্নে কাদের বলেন, আমরা তো ভোটের সুষ্টু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, জনগনকে সহযোগিতা করার জন্য কারো মাঠে থাকবো, কারও সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করার জন্য নেতাকর্মীদের কোন নির্দেশনা দেই নি। আমাদের উদ্দেশ্য জনগন ভোট দিতে আসবে ভোটের পরিবেশ যেন বিগ্নিত না হয়। আমরা এখানে প্রতিপক্ষের সাথে কোন রকম সংঘাত-সংঘর্ষে যাবো না।

ইভিএম এর মাধ্যমে সরকার কারচুপ করার সুক্ষ পথ বের করেছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাব জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমি মনে করি কারচুপি ঠেকানের কৌশল হিসেবে, ইভিএম হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা। এটা তারা মনে করতে পারে কারণ, তারা এখনও এনালগে রয়ে গেছে । তারা এখনও ডিজিটালে আসতে পারে নি। তারা আধুনিক প্রযুক্তি পছন্দ করে না। কারণ তারা নিজেরাই সেই অন্ধকারে রয়েগেছে। বিএনপি  ইলেকশন বলতে বুঝে কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি এসবই তাদের নির্বাচন ছিল। নির্বাচন কারচুপি মুক্ত এটা তারা কখনও চিন্তা করে না। তারা কেন্দ্র দখলের রাজনীতি অতীতে করেছে। কেন্দ্র দখল, জবর দখল এবং ভোট দখলের কোন সুযোগ ইভিএমএ নেই। এখানে হচ্ছে বিএনপির মুল ভয়ের কারণ।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Ads
Ads