ইভিএমে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় ভোটারদের হয়রানি

  • ১-ফেব্রুয়ারী-২০২০ ০৮:৫০ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনেক কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটারদের ফিংগার প্রিন্ট মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। তবে প্রিজাইডিং অফিসাররা বলছেন, এমন ঘটনা স্বাভাবিক। ভোটারের পরিচয় শনাক্ত হলেই তারা ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ডের দশটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দেখা যায়, কোনও কোনও ভোটার ৫ মিনিট সময় ব্যয় করেও তার ফিংগার প্রিন্ট যাচাই করতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের। আবার শনাক্ত করা গেলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তা নিশ্চিত করে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। অনেকে ফিংগার প্রিন্ট ম্যাচ করলেও ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে জটিল মনে করছেন।

২৬ নং ওয়ার্ডের ভোটার রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘অনেকবার চেষ্টা করা হলো তবুও ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিললো না। পরে আমাকে আবার আসতে বললো। আসলে এত কঠিন প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়া যায় না।’

২৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহিদা বেগম বলেন, ‘স্যাররা অনেকক্ষণ চেষ্টা করলেন। তবু হাতের আঙুলের ছাপ মিললো না। আবার পরে আসতে বলছে।’

২৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভোট দিতে ভালোই লাগছে। একটু সমস্যা হয়েছিল, ফিংগার প্রিন্ট মিলছিল না। ৭-৮ বার চেষ্টা করার পর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে শনাক্ত করে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’

এদিকে এই প্রক্রিয়াটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। তারা বলছেন এমন ঘটনা একশতে দু-একটি ঘটতেই পারে। এ বিষয়ে ২৬ নং ওয়ার্ডের ৪৭১ নং ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তানভির মোহাম্মদ বলেন, ‘অনেকের আঙুলের কাটা দাগ থাকায়, পান খাওয়া বা বিভিন্ন কারণেই আঙুলের ছাপ না মিলতে পারে। এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে যাদের আমরা শনাক্ত করতে পারছি, তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

২৬ নং ওয়ার্ডের ৪৭৩ নং ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলার ঘটনাটা স্বাভাবিক। এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। ১০০ ভোটারের মধ্যে ২/৩ জনের এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।’

এদিকে ২৪নং ওয়ার্ড লালবাগ ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেলেও অনেকেরই ফিংগারপ্রিন্ট ম্যাচিং না হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Ads
Ads