ঘোষণার আগেই কদিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্রাট-উজ্জলের পোস্টারিং, নেপথ্যে লেনদেন!

- ২-ফেব্রুয়ারী-২০২০ ০৬:০১ পূর্বাহ্ণ
সিনিয়র প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জেলা কমিটিগুলোর মধ্যে সবচে বিতর্কিত একটি ইউনিটের নাম কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি। কমিটির সভাপতি শফিকুল গনি লিমন ঢালী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলীর নানামুখী বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য কয়েকদফা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা তিরস্কৃত ও সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু লিমন ঢালী আর আশরাফ আলীর যেন অভ্যাসেই পরিণত হয়েছে বিতর্কিত কাজ করার ক্ষেত্রে।
সর্বশেষ তাদের দুজনের নির্দেশেই কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না করার আগেই লিমন ঢালী এবং আশরাফ আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুরো উপজেলা জুড়েই পোস্টারিং করেছে সম্রাট আলমগীর হোসেন এবং আনিছুর রহমান উজ্জল এবং তাদের সমর্থকরা।
সম্রাট আলমগীর হোসেনকে কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং আনিছুর রহমান উজ্জলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বলে পোস্টার করা হয়েছে। তবে আদতে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত কোনো কমিটিরই অনুমোদন দেয়া হয়নি।
তবে কটিয়াদী ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ঢালী এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীকে মোটা অংকের টাকা দেয়া হয়েছে। জেলার দুই নেতাই সম্রাট এবং উজ্জলকে নেতা বানাবেন বলে কথা দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষিত হওয়ার আগেই নিজেরা তাদের অনুসারীদের দিয়ে এমন একটি ভুয়া পোস্টারে সয়লাব করে ফেলেছে পুরো উপজেলা।
এদিকে, গত কয়েকমাস আগেও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ঢালী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রে ডেকে পাঠানো হয়। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও অনুনয় বিনয় করে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে মুচলেকা দিয়ে সময় চান এবং টাকার বিনিময়ে একক স্বাক্ষরে কাউকে নেতা বানাবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় ৫ বছর আগে এবং জেলার শীর্ষ দুই নেতাই বিবাহিত।
এ বিষয়ে ফোনে আনিছুর রহমান উজ্জল বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কে বা কারা আমার অনেক আগের একটি ছবি নিয়ে এই পোস্টারিং করেছে। এই ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।
তবে সম্রাট আলমগীর হোসেনকে কয়েকবার ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠানোর পরও তিনি কোনো প্রতিউত্তর করেননি।