চালের ডিলার এবং বয়সোর্ত্তীণকে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন জয়-লেখক

- ৫-ফেব্রুয়ারী-২০২০ ১২:১০ অপরাহ্ন
উৎপল দাস
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একমাত্র ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব প্রাপ্তির পর সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের হাত ধরে প্রথম যে জেলা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। বুধবার দুপুরে জয়-লেখক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদপুর জেলা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়সসীমা ২৯ করা থাকলেও ৩০ বছরের জহির উদ্দিন মিজিকে সভাপতি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি চালের ডিলার এবং ওজনে কম চাল দিয়ে কারসাজি করে কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এদিকে, বিতর্কিত দুইজনকে দিয়ে কিভাবে ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ পদ বাগিয়ে নিল তা নিয়ে পুরো চাঁদপুরের চলছে সমালোচনার ঝড়। এমনকি সরকারিভাবে দেয়া ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে অসুদপায় অবলম্বন করা একজন ব্যবসায়ীকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তা নিয়েও চলছে কথাবার্তা। জেলা ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীই বিতর্কিত দুইজনকে নেতা হিসাবে মানতে নারাজ।
এদিকে, ছাত্রলীগের একটি অংশ দাবি করেছে, সরকারের একজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সরাসরি হস্তক্ষেপেই এই বিতর্কিত দুজনকে নেতা বানানো হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেয়া মো. জহির উদ্দিনের জন্ম তারিখ ১০-০২-১৯৯০। সে হিসাবে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগে পদ পাওয়ার কোনো যোগ্যতাই তার নেই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জহির উদ্দিন এবং সাদ্দাম হোসেনকে এ প্রতিবেদক ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তাদেরকে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠালেও সেটির প্রতিউত্তর দেননি।
এদিকে, বিতর্কিতদের নিয়ে কিভাবে চাঁদপুর জেলা কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলে তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে এবং তথ্য গোপন করলে কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়া হবে।