ভাষাশহীদদের প্রতি ছাত্রলীগের বিনম্র শ্রদ্ধা

  • ২০-ফেব্রুয়ারী-২০২০ ০৭:২৬ অপরাহ্ন
Ads

একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগ।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এ শ্রদ্ধা জানান।

 

এসময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতা, ঢাকার দুই মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সুর বাজতে থাকে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

ভাষা আন্দোলন দমন করতে ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেন। সেই মিছিলে গুলি চলে। গুলিতে শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার। তাঁদের স্মরণেই দেশবাসী এই শহীদ মিনারের সামনে এসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ছেয়ে যায় মিনারের বেদি।

একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য আরও ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বেশ কিছু সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। চানখাঁরপুল, বকশীবাজার, নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, হাইকোর্ট ক্রসিং, রোমানা চত্বর এলাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এসব এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। শহীদ মিনারে যাওয়ার প্রতিটি প্রবেশফটকে পর্যাপ্ত আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশি ও হ্যান্ডব্যাগ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Ads
Ads