পাপিয়া নিজেই বললেন, সাবেক এমপি তুহিনের সাথে কোনো লেনদেন নেই

- ২৬-ফেব্রুয়ারী-২০২০ ০৫:২৭ অপরাহ্ন
উৎপল দাস
অপকর্মের দায়ে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া নিজেই বলেছেন, সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনের সাথে তার কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন নেই। এমনকি গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ নেই বলেও স্বীকার করেছেন বিতর্কিত পাপিয়া।
বুধবার রাতে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বিমানবন্দর থানায় ভোরের পাতার এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সামনেই। পরিচয় গোপন করে এ প্রতিবেদক এই একটি মাত্র প্রশ্ন করারই সুযোগ পান বিমানবন্দর থানার মহিলা কয়েদখানায় বন্দি শামীমা নূর পাপিয়াকে। তিনি আরো অনেক কথা বলতে চাইলে, তদন্ত কর্মকর্তারা সেই সুযোগ দেননি।
উল্লেখ্য, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে একজন সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের এমপির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু বিষয়টিকে বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। এমনকি সাবিনা আক্তার তুহিনের সাথে তার যোগাযোগও খুবই কম।
নিজের মুখেই পাপিয়া আরো বলেছেন, গত এক বছরে মাত্র ২ থেকে ৩ বার সাবিনা আক্তার তুহিন তাকে ফোন করেছিলেন। একবার আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনের সময়। আরেকবার নরসিংদীতে একটি পিকনিকে যাওয়ার আগে। কিন্তু সেই পিকনিকেও যেতে পারেননি পাপিয়া।
এদিকে, সাবেক এমপি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে দাবি করেছেন, পাপিয়া নিজ সংগঠনের একটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার বদৌলতে যতটুকু সম্পর্ক রাখার দরকার ততটুকুই ছিল। তার সাথে ব্যবসায়িক পার্টনার হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো দলিলও কেউ দেখাতে পারবে না। তুহিন আরো দাবি করেন, আমার আমলনামা বিশেষ করে আর্থিক লেনদেনের সব নথি উন্মোচন করা হলেই বুঝতে পারবেন, আমি কতটা সততা নিয়ে রাজনীতি করি। সামনে যুব মহিলা লীগের সম্মেলন রয়েছে, তাই আমাকে জড়িয়ে অনেকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে রাজনৈতিকভাবে আমাকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার আমলনামাই জানেন।