মুজিববর্ষে বড় বাজেট দিয়ে নতুন কর্মসূচি না দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • ২-মার্চ-২০২০ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Ads

ফাইল ছবি

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

মুজিববর্ষে বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কাজ বা কর্মসূচি না দিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যেটা বলেছেন যে আমরা প্রিসাইজলি বলে দিয়েছি মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়-বিভাগ তাদের একটা নোটেবল প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ডিক্লিয়ার করবে। তবে যদি ব্যতিক্রমী কোনো কাজ থাকে তার জন্য তারা চিন্তা করতে পারে। কিন্তু বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কোনো কাজ করার দরকার নেই।

কেমন কর্মসূচি হতে পারে—তার একটি উদাহরণ দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ লাখ পেনশন ভোগী বাড়িতে বসে যাতে পেনশন পান, সেটা নিশ্চিত করবে অর্থ বিভাগ। এ রকম কর্মসূচি মুজিব বর্ষের কর্মসূচিতে রাখতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোনো কোনো প্রোগ্রাম করতে গিয়ে ফান্ড লাগে, যেমন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পী আনবেন- এটা তো পেমেন্ট করতে হবে। ওখানে যে স্টেজ হবে সেজন্য বাড়তি টাকা দেওয়া হবে না, সেটা পিডব্লিউডি করে দেবে। শুধু বাজেট না, উনি বলেছেন যে নতুন নতুন কিছু দরকার নেই। আমার যে প্রোগ্রামটা আছে, সেটার মাধ্যমে যদি মানুষ ও দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারি- সেটা মুজিববর্ষের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে করা। নরমালি যে প্রোগ্রাম আছে সেটাই যেন আরো ইফেকটিভ করে দেন।

মন্ত্রণালয়গুলো কি বেশি বাজেট দাবি করেছে, সে কারণে (বাড়াবাড়ি না করতে বলেছে)- প্রশ্নে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, না। অনেকেই হয়তো বুঝতে পারেনি। অনেকেই ভাবছে হয়তো নতুন প্রোগ্রাম দিতে হবে। বাজেট তো আগে থেকেই নেওয়া হয়, বাজেটের পেরিফেরিতে যে প্রোগ্রাম আছে সেগুলোর মধ্যে একটা নোটেবল প্রোগ্রামকে এ বছরের প্রোগ্রাম হিসেবে ট্যাগ করে দেন। সেতু বিভাগ থেকে আমরা মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম যে, ২০২১ সালের ১৭ মার্চের আগেই পদ্মাসেতুর ফিজিক্যাল আমরা শেষ করে দেবো। এজন্য তো অনেক টাকা লাগবে, ওই টাকা আমরা সরকারের কাছ থেকে চাচ্ছি না। কারণ, প্রজেক্টে তো ওই টাকা দেওয়া আছে। আমরা একটু বেশি ইফোর্ট দিয়ে কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে এসে মার্চের মধ্যে করার চেষ্টা করবো। এগুলো ইনফরমালি আলোচনা হয়েছে, কেবিনেটের পর।

দলীয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে প্রোগ্রাম করছে, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বলা হয়েছে যে সেন্ট্রাল কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রোগ্রাম করবেন। মুজিববর্ষের অর্থ ছাড় করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে।

এই কমিটি কি আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা না। এতো বড় একটা প্রোগ্রামের বাজেটের জন্য একটা বাজেট কমিটি তো থাকতে হবে। একটা বাজেট কমিটি করে দেওয়া হয়েছে যাতে কোথায় টাকা দেবো, কত টাকা দেবো সেটা নজরে থাকে।

কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো বাজেট আছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, সবারই আছে। পার্লামেন্ট যেমন বলেছে যে আমাদের টাকা দিতে হবে না, আমাদের নিজেদের বাজেট থেকেই করবো। দু’একটা সেশন হবে, বিদেশিরা এসে ভাষণ দেবে। তারা বলেছে আলাদা বাজেট দিতে হবে না।

প্রোগ্রামের নামে অনেক জায়গায় বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বলে দেওয়া হয়েছে যে জাতীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রোগ্রামে করতে হবে।

এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুনামগঞ্জে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার আইনি খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া বৈঠকে জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

Ads
Ads