চসিক ৩৭ নং ওয়ার্ডে আ. লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন রাজাকারের সন্তান হোসেন মুরাদ!

  • ৩-মার্চ-২০২০ ০৩:১৪ অপরাহ্ন
Ads

উৎপল দাস

দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে সারাদেশে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাছাই করে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ৩৭ নং ওয়ার্ডে স্থানীয় এমপিকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন রাজাকারের সন্তান হোসেন মোহাম্মদ মুরাদ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর সহযোগী হিসাবে আবু শামা কাজ করেছেন বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এবং চট্টগ্রামের রাজকারের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। এমনকি চট্টগ্রাম ১১ আসনের আওয়ামী লীগের  স্থানীয় সংসদ সদস্য  এম এ লতিফকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনও হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেন মুরাদের ঘনিষ্ঠজনরাই। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোসেন মুরাদ শুধু রাজাকারের সন্তানই নয়, তার পুরো পরিবারই জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। হোসেন মুরাদের আপন বড় ভাই হাসান মুরাদ বন্দর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৩৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি সরকার বিরোধী নাশকতা মামলার আসামি হিসাবে কয়েকবার জেলও খেটেছেন। এছাড়া হোসেন মুরাদের ছোট ভাই রুস্তম মুরাদ একজন শিবিরের ক্যাডার হিসাবে জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। 

এমন একজন বিতর্কিত অনুপ্রবেশকারীকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেয়ায় ৩৭ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৩৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী পরিবর্তনের জোর দাবি জানিয়েছেন। এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ এ লতিফের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। 

এর আগেও চট্টগ্রাম ১১ আসনের এমপি এম এ লতিফের বিরুদ্ধে নানা সময়ে জামায়াত বিএনপির লোকজনকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। 

এদিকে, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ৩৭ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নেতা শেখ হাসিনার কাছে। 

Ads
Ads