পিরোজপুরের বিচারককে তাৎক্ষণিক বদলির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

  • ৪-মার্চ-২০২০ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
Ads

:: ভোরের পাতা ডেস্ক ::

পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে বদলির আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১১ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার (৪ মার্চ) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি বুধবার আদালতের নজরে আনার পর আদালত এ আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। আদালত আদেশের আগে উপস্থিত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফের মতামত শোনেন।

এর আগে বিষয়টি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।

এ সময় আদালত বলেন, বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেওয়া হয়ে থাকলে আমাদের সুয়োমোটো আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই আপনারা বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনতে পারেন। 

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। এই আদালত সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে রিট আবেদন করার পরামর্শ দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে যান আইনজীবীরা। এই আদালত স্বতপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করলেন।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন বুধবার দুপুরে সমিতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, এটা বিচার বিভাগের ওপর সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ। তাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বার্থে বিষয়টি কাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আব্দুল আওয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন গত ৩ মার্চ পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ওইদিন দুপুরে আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ওই বিচারককে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজের পদ থেকে প্রত্যাহার করে (স্ট্যান্ড রিলিজ) আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

একইসঙ্গে পিরোজপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের কাছে দায়িত্ব বুঝে দেন মো. আব্দুল মান্নান। এর কয়েক ঘণ্টা পর এ কে এম আব্দুল আওয়াল ও তার স্ত্রী লায়গা পারভীন পুনরায় ওই আদালতে জামিনের আবেদন করেন। এবার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

Ads
Ads