মহাকাশে যে ৫ খাবার একবারেই নিষিদ্ধ!

  • ২৩-Jul-২০১৮ ০৬:০০ অপরাহ্ন
Ads

আচ্ছা মহাকাশচারী বা নভোচারীরা কি মহাকাশে বসে আমাদের মত যা ইচ্ছা বা যখন ইচ্ছা তাই খেতে পারে? না, একদমই তা নয়। কিছু কিছু মজাদার ও জনপ্রিয় খাবার রয়েছে যেগুলো দিয়ে আমরা পৃথিবীতে প্রতিদিন পেটপূজো করলেও মহাশূন্যের বাসিন্দাদের জন্য তা নিষিদ্ধ। এর পেছনে কারণ মূলত দুইটি। মহাকাশে অভিকর্ষ বল একদম শূন্য। আর স্পেস স্টেশনগুলোতে খাবার রাখার জায়গাও কম। চলুন জেনে নেয়া যাক মহাশূন্যে খাওয়া যায় না বা খেতে দেয়া হয় না এমন ৫টি প্রচলিত খাবার সম্পর্কে-

 

ব্রেড

পাউরুটি, বিস্কুট বা ক্র্যাকারের মতো খাবারগুলো আসলে ঠিক মহাকাশের স্পেস স্টেশনের নভোচারীদের জন্য নয়। মহাশূন্যে অভিকর্ষ নেই বলে সেখানে সব বস্তুই ভাসে। এই খাবারগুলো ভাসতে থাকলে এগুলোর গুঁড়ো বা ক্ষুদ্র খণ্ড নভোচারীদের চোখে গিয়ে অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। স্পেস স্টেশনে এসব খাবার না রাখার এটাই কারণ।

কোমল পানীয়
মহাশূন্যে কোমল পানীয় নিয়ে গেলে ঘটে মজার এক ঘটনা। কোমল পানীয়তে থাকা সব কার্বন ডাই অক্সাইডের বুদবুদ তখন ভাসতে ভাসতে উড়ে যায়, ফলে কোমল পানীয় বা সোডার ঝাঁঝ আর থাকে না। সেগুলো হয়ে যায় মিষ্টি শরবতের মতো। তাই মহাকাশ স্টেশনে কোমল পানীয়ের চলও আস্তে আস্তে উঠে গেছে। কোকাকোলার বোতল খুলে যদি ঝাঁঝ না পাওয়া যায়, তবে আর কি করা বলুন?

লবণ, গুড়া মরিচ
ধরুন লবণদানি দিয়ে আপনি খাবরে লবণ ঢালছেন, সেগুলো খাবারের উপর না পড়ে আস্তে আস্তে উড়াউড়ি শুরু করে দিয়েছে ! এখন লবণের কণাগুলো থেকে কিভাবে বাঁচবেন? একই কথা গুড়া মরিচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ঠিক এই ঘটনাই ঘটে মহাশূন্যে। এ জন্য মহাকাশ স্টেশনে চাইলেও খাবারে এক্সট্রা লবণ বা গুড়ামরিচ নেয়া সম্ভব নয়।

বিশুদ্ধ দুধ
মহাকাশ স্টেশনে তাজা তরল দুধ নেয়া হয় না, কারণ তরল দুধ সংরক্ষণে অনেক জায়গা লাগে এবং রেফ্রিজারেশনের দরকার হয়। ষাটের দশক থেকে তাই মহাশূণ্যে তরল দুধের পরিবর্তে পাউডার মিল্ক ব্যবহার করা হচ্ছে।

আইসক্রিম
মহাকাশ স্টেশনে কোনো ফ্রিজের ব্যবস্থা নেই। তাই মহাকাশচারীরা চাইলেও পেতে পারেন না হরেক রকম আইসক্রিমের স্বাদ। বিশেষ প্রকার ফ্রিজ-ড্রাইড আইসক্রিমই ভরসা।

Ads
Ads