সড়কে মৃত্যুর মিছিল : প্রকৃত দোষীর শাস্তি চাইলো না কেউ

- ৩-Aug-২০১৮ ০৬:০০ অপরাহ্ন
ড. কাজী এরতেজা হাসান
কোমলমতি স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। গত ৬ দিনের টানা আন্দোলনে নিরাপদ সড়ক চেয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে সেখানে প্রকৃত দোষী দুইজনের বিচার চায়নি কেউই। কোনো শিক্ষার্থী কেন, কোনো অভিভাবকও রাজপথে তো দূরে থাক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও প্রকৃতপক্ষে সড়কে চরম অবব্যস্থপনার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি চায় নি।
দেশের যত অদক্ষ চালক রয়েছে তাদের এবং ফিটনেট বিহীন যানবাহন চালাচল করে সেগুলোর লাইসেন্স দিয়ে থাকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসাবে চেয়ারম্যানই অদক্ষ চালক এবং ফিটনেট বিহীন যানবাহন রাস্তায় চলাচলের জন্য দায়ী।
কিন্তু চলমান আন্দোলনে একবারের জন্যও বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোঃ মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলেননি। প্রকৃত দোষী এই মাশিয়ার রহমানে শাস্তি চাওয়া তো দূরে থাক তার নামটিও উচ্চারিত হয়নি কোনো আন্দোলনকারীর মুখে।
আন্দোলনে উল্টো দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে কোমলমতি শিশুরা। তারা কেন মূল বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে প্রতিপক্ষ বানালো না এমনকি তার পদত্যাগ চাইলো না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
চলমান এ আন্দোলনকে ঘিরে সরকার বিরোধী পক্ষ বিএনপি জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল এবং ছাত্র শিবিরের উপস্থিতিও আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়া কোমলমতি শিশু-কিশোররা যেভাবে অশ্লীল স্লোগান দিয়েছে তাতে করে এই আন্দোলনের মাধ্যমে পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাজধানীর কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হবার পর তার বিচার চেয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে স্কুল-কিশোররা রাজপথে নেমে আসে। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাত্নতা ঘোষণা করে তাদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন।
কয়েকজন অভিভাবক ও আন্দোলনকারীর সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোরের পাতাকে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। শারমিনা নুপুর নামে একজন অভিভাবকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমতা আমতা করে তিনি বলেন, আসলেই তো তাই। আসল দোষী তো বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এভাবে বিষয়টি ভেবে দেখেনি।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোঃ মশিয়ার রহমানকে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ভোরের পাতা অফিস থেকে শুক্রবার রাতে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।